রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রমাণ সংগ্রহের পরিকল্পনা জাতিসংঘের

Looks like you've blocked notifications!

গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জাতিসংঘ একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আজ রোববার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনএইচআরসি) চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকের পর এনএইচআরসি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘ কনভেনশনে গণহত্যা সংক্রান্ত অপরাধের সংজ্ঞা অনুযায়ী জাতিসংঘ এখন পাঁচ ধরনের অপরাধ সংঘটনের ওপর কাজ করে, সেগুলোর প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সেখানে কয়েক মাস আগে যে সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী নিধনের মতো অত্যাচার চালিয়েছে, তার ‘জ্বলন্ত বর্ণনা দিবালোকের মতো’ উচ্চারিত হচ্ছে।

রিয়াজুল হক বলেন, ‘আদামা আমাকে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্তদল মিয়ানমারে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তারা যদি গণহত্যার ওপর পাঁচটি বৈশিষ্ট্য পেয়ে যায়, তাহলে অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করা যাবে।’

জাতিসংঘের টিমকে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চল রাখাইন রাজ্যের ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শনে অনুমতি দেওয়া হবে কি না- আদামার এই আশংকার পুনরাবৃত্তি করে এনএইচআরসি প্রধান বলেন, ‘এটি মিয়ানমারের ওপর নির্ভর করছে।’

এর আগে গত বছর ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে সেই সময় থেকে কোনো আন্তর্জাতিক গ্রুপকে ওই রাজ্যটি পরিদর্শনে অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ওই সময় থেকে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।