বিমানে ছিলেন ৩২ বাংলাদেশি, ৩৩ নেপালি
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ৩২ জন। নেপালের ছিলেন ৩৩ জন যাত্রী। এ ছাড়া চীন ও মালদ্বীপের দুই নাগরিক ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে দুটি শিশু ছিল। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস এসব তথ্য দিয়েছে।
আজ সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস বাংলার একটি বিমান। ঢাকা থেকে দুপুরে রওনা দেয় বিমানটি। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটার দিকে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানায়, চার ক্রু এবং ৬৭ জন যাত্রীসহ সর্বমোট ৭১ জনকে নিয়ে নেপালে যাত্রা করেছিল বিমানটি। এর মধ্যে বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ৩২ জন। ৩৩ জন নেপালের। চীনের ও মালদ্বীপের দুই নাগরিকও আছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিমানের ক্রুসহ আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৭ জনকে।
জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে ইউএস বাংলার ড্যাশ এইট কিউ ফোর হানড্রেড মডেলের এই বিমানটি। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রানওয়ে থেকে ছিটকে বিমানটি পাশের খালি মাঠে গিয়ে পড়ে। দুই ইঞ্জিনের বিমানটি ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে পড়ে। বিক্ষিপ্ত অংশগুলোতে লাগা আগুনের কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা বিমানবন্দর।
এরপরই দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের যাত্রীদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে উদ্ধারকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে অংশ নেয় নেপাল সেনাবাহিনী ও বিমানবন্দরের সদস্যরা।
কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবানের চ্যান্সারি প্রধান আল আলেমুল ইমাম জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের সাহায্য করতে খোলা হয়েছে উদ্ধারকেন্দ্র। আহতদের কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আলেমুল ইমাম বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত এয়ারপোর্টে আছেন। সেখানে উদ্ধার কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। আহতদের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নরভিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কান্তিপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আমাদের দূতাবাসের লোকজন গেছেন।’