৩২ ধারা নিয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে : মেনন

Looks like you've blocked notifications!
নারায়ণগঞ্জে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। ছবি :এনটিভি

সাংবাদিকদের কোনো অসুবিধা হবে এমন কোনো আইন সরকার করবে না বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি ৩২ ধারা (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) নিয়ে সরকারের ভেতর আলাপ আলোচনা চলছে।’

আজ মঙ্গলবার সকালে প্রেস নারায়ণগঞ্জ নামে একটি অনলাইন পত্রিকার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেনন এসব কথা বলেন মেনন।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি যে, বহু ধরনের বহু অনলাইন পত্রিকা এখন বের হচ্ছে। সরকার এর জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করছে এবং আমি আশা করব, নীতিমালা আসার পরও সেই ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাব। আমি জানি যে, অনলাইনে প্রশ্ন নিয়ে নানাবিধ কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি এবং আইন নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। আমি যত দূর জানি, ইতিমধ্যে এই বিষয় নিয়ে সরকারের মধ্যেও আলোচনা হয়েছে। কোনো ধরনের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কোনো কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। এই সরকার এই পর্যন্ত যেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে এবং যেটার ব্যবহার হচ্ছে, আমরা যদি সত্যিকারভাবে তাঁর ব্যবহার করতে পারি, তাহলে পরে নিশ্চিতভাবে আমাদের গণমাধ্যম সামনের দিকে বিকশিত হবে।’

বিভিন্ন সময়ে সামাজিক ও দেশের স্বার্থেই গণমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হয় বলে দাবি করেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বিশেষ করে আমি একটা কথা বলতে চাই,এখন একটা সুবিধা হচ্ছে, বা অসুবিধা হচ্ছে, যেটাই বলি না কেন, যেকোনো সম্পর্কে, যেকোনো কথা কিন্তু লিখে দেওয়া যায় এবং এই লিখে দেওয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অনলাইন পত্রিকায় এক একটি সংবাদ বেরিয়ে আসছে। এর যেমন ভালো দিক আছে, মন্দ দিকও রয়েছে। আমরা দেখি শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনায় সরকার অনেক সময় বাধ্য হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে, অনলাইন পত্রিকাগুলোর ওপরে তাদের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে আপনারা জানেন, শ্রীলংকায় যেই হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়ে গেল সেখানে শ্রীলংকা সরকার তিনদিন সব সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।’

সকল পছন্দ-অপছন্দের ঊর্ধ্বে গিয়ে সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে বলেও জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজেরাই বলেছেন যে, এই পত্রিকার ক্ষেত্রে মফস্বলে বিশেষ করে বাইরে, শহরেও এখানে ব্যক্তি পছন্দ-অপছন্দের বিষয় থাকে, ঘটনার পছন্দ-অপছন্দের প্রশ্ন থাকে। আমি বলবো যে তাঁর ঊর্ধ্বে উঠে আজকে এই পত্রিকাগুলোকে জনগণের কাছে, পাঠকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে।’

অনলাইন সাংবাদিকদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে মন্তব্য করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে কালকে বিমান দুর্ঘটনা হলো আমরা কিন্তু তাঁর চিত্র আমরা দেখেছি এবং সঙ্গে সঙ্গে আমরা খবর পেয়েছি এবং এটা শুধু আমাদের এখানেই নয়, সারা বিশ্বে প্রকাশিত হয়েছে, আমরা দেখেছি। সুতরাং হাতের মুঠোয় যে বিশ্ব চলে এসেছে, সেই বিশ্বের একজন উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে এবং আজকে সেই বিশ্বের যেই সুবিধা আমরা পাচ্ছি, তাঁকে ব্যবহার করার উপযুক্ত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে।’

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এই সভা সঞ্চালনা করেন পত্রিকাটির সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিন। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান দিপু, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুমন রেজা ও শ্রমিক নেতা কাওসার আহাম্মদ পলাশ।