খাদেম হত্যায় ৭ জেএমবির ফাঁসি, ‘রাজীব গান্ধী’ খালাস

Looks like you've blocked notifications!

কাউনিয়া উপজেলায় মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যার দায়ে মামলায় জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সাত সদস্যের ফাঁসি দিয়েছেন রংপুরের বিশেষ জজ আদালত।

আজ রোববার রংপুর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ড পাওয়া সাতজন হলেন—জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা, সাখাওয়াত হোসেন, সারোয়ার হোসেন, ইসাহাক আলী, লিটন মিয়া, বিজয় ও চান্দু মিয়া (পলাতক)। একই সঙ্গে তাঁদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছয়জনের খালাসের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আলোচিত জেএমবি সদস্য রাজীবুল হাসান ওরফে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী রয়েছেন। খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন—শাহাদত হোসেন, তৌফিক, আবু সাইদ, বাবুল আক্তার ও নজিবুল ইসলাম (পলাতক)।

বিশেষ আদালতের সরকারিপক্ষের কৌঁসুলি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, রায়ে অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন নিহত রহমত আলীর ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, রায়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তাই এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন তিনি।

এর আগে সকালে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৩ আসামির মধ্যে ১১ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার শুরু থেকেই দুই আসামি পলাতক ছিলেন।

মামলার বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আফতাব হোসেন।

২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর বাজারে নিজ ওষুধের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় ওই ইউনিয়নের চৈতারমোড়ে দুর্বৃত্তরা রহমত আলীর গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

এরপর দিন ১১ নভেম্বর এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রহমত আলীর ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম।

মামলার তদন্ত শেষে ১৩ জঙ্গির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।