২ ইউপিডিএফ নেত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা। ছবি : সংগৃহীত

পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সহযোগী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার দুপুর ১২টায় মেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন সংগঠনটির জেলা সংগঠক সচল চাকমা। এ সময় আরেক সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের এক নেতাকে গুলি ও একটি মেসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

অপহৃতরা হলেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমা।

গুলিবিদ্ধ হয়েছেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা ধর্মসিং চাকমা। তবে আহত ধর্মসিং চাকমা কোথায় আছেন, এ বিষয়ে কিছু জানায়নি ইউপিডিএফ।

এ ঘটনার জন্য সংগঠন থেকে বেরিয়ে গিয়ে পৃথক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা ইউপিডিএফকে (গণতান্ত্রিক) দায়ী করেছে ইউপিডিএফ। তবে এ বিষয়ে ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) কারো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

বিবৃতিতে সচল চাকমা বলেন, ‘সকাল সোয়া ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়ক থেকে কয়েকশ গজ দূরে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা ধর্মসিং চাকমার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। দুর্বৃত্তরা ছাত্রদের একটি মেসে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

‘একই সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের স্টাইলে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। এ সময় এই দুই নেত্রীকে আবাসিকের বৌদ্ধ মন্দিরের পাশ দিয়ে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের পূর্ব পাশের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়।’

সচল চাকমা এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত ও ন্যক্কারজনক’ অভিহিত করে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিকভাবে ইউপিডিএফকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে তার উত্থানকে রুদ্ধ করতে চাইছে।’

এদিকে অপহরণ ও হামলার প্রতিবাদে ও অপহৃতদের মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করেছে।

এ বিষয়ে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি এবং আমাদের ফোর্স ওই এলাকায় গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

মাস ছয়েক আগে ইউপিডিএফের কিছু নেতাকর্মী দল থেকে বেরিয়ে এসে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নামে পৃথক সংগঠন গড়েন। এর পর থেকে মূল ইউপিডিএফের ছয়জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা নিহত হন। আর এসব খুনের ঘটনায় প্রতিবারই দলটি ইউপিডিএফকে (গণতান্ত্রিক) দায়ী করে আসছে।