‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ’

Looks like you've blocked notifications!
সচিবালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ছবি : এনটিভি

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর বাণিজ্যে যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম।’ তিনি আরো বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।’

আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দ্প্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।  

উন্নয়নশীল দেশের সনদ প্রাপ্তি প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের স্বাধীনতা। নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পকে বাধাগ্রস্ত করতে চক্রান্ত হয়েছিল। এ শিল্পের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে শিশু শ্রম বন্ধ এবং রপ্তানি ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিল করে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে এসেছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি বীরের জাতি, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে জানে। পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া ‘জিএসপি প্লাস’ পাওয়া যাবে। যেসব দেশ জিএসপি প্লাস দিবে না, সেসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি করা হবে। এতে রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আরো বেশি বিশ্ব বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জন করবে।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জাতির পিতার জন্ম দিনে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণের সংবাদ বাঙালি জাতির জন্য গৌরবের ও মর্যাদার। এক সময় বলা হয়েছিল বাংলাদেশ হলো তলাবিহীন ঝুড়ি, বিশ্বের দরিদ্র দেশের মডেল হবে বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে  উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এখন বড় বড় প্রকল্প নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে।’  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওষুধ শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি খাত হবে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশ ট্রিপস চুক্তির আওতায় শর্ত শিথিল করে ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত উন্নত বিশ্বে ওষুধ রপ্তানির সুযোগ পাওয়ার কথা। স্বাভাবিক ভাবেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর বিশ্ববাসীর আস্থা অনেক বৃদ্ধি পাবে, দেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। বি‌শ্ববাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে বাংলাদেশ।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলো জ্বালাও পোঁড়াওয়ের রাজনীতি পরিহার করে নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারায় এসেছে বলে মনে করি। আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকবে।’