ভৈরবে মতবিনিময় করলেন কিশোরগঞ্জের নতুন ডিসি
উন্নয়ন অথবা সমস্যার সমাধানে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার লোকজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া সম্ভব নয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল আমাদের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সামাজিক প্রচেষ্টা। সবার অংশগ্রহণে স্বাধীনতা যুদ্ধ রূপ নিয়েছিল সামাজিক প্রতিরোধে। আর তাই আমরা সফলকাম হয়েছিলাম।
সোমবার দুপুরে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কিশোরগঞ্জ জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। ভৈরব উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় উপজেলা পরিষদের সব কর্মকর্তা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, এনজিওকর্মীসহ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, প্রশাসনের তৃণমূল পর্যায় হলো উপজেলা প্রশাসন। এখানে সমাজের প্রান্তিক জনগণের সঙ্গে কাজ করতে হয়। তাই কর্মকর্তাদের উচিত সবার সাথে মিলে-মিশে সমন্বয় করে কাজ করা।
সাংবাদিকদের সমাজের আয়না উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, সমাজ বা রাষ্ট্রের উন্নয়নে সংবাদকর্মীদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের সহযোগিতা ছাড়া সমাজ উন্নয়ন অসম্ভব বলে উল্লেখ করে তিনি তাঁর কর্ম সময়ে সংবাদকর্মীদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। গঠনমূলক ও বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনার পাশাপাশি প্রত্যাশা করেন ভালো কাজের প্রশংসাও।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কাজী ফয়সালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যা ও উন্নয়ন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ আল মামুন, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা মো. সুলায়মান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ডেপুটি কমান্ডার ফরহাদ আহমেদ, ভৈরব প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাকির হোসেন কাজল, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি ভৈরব শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফারুক, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আলহাজ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সভাপতি আলহাজ মো. হুমায়ুন কবির, পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. কে এম এন জাহাঙ্গীর, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ শাহরিয়ার মেনজিস, কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফারুক মিয়া, সাংবাদিক শামীম আহমেদ প্রমুখ।
মতবিনিময় সভার শুরুতে জেলা প্রশাসককে ফুলেল অভিনন্দন জানায় বিভিন্নজন। ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর প্রজেক্টরের মাধ্যমে একনজরে ভৈরব উপজেলার উন্নয়ন, সম্ভাবনা, সমস্যা, শিক্ষা, বাণিজ্য, কর্ম, শিল্প, কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদি তুলে ধরেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন। সবশেষে ভৈরব বিয়াম স্কুলের খুদে চিত্রশিল্পীর আঁকা একটি বাঁধাই করা ছবি জেলা প্রশাসককে উপহার দেন স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও ইউএনও মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল এবং উপাধ্যক্ষ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন।