কাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন শুরু

Looks like you've blocked notifications!

আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৮-১৯ সেশনের নির্বাচন। দুই দিনব্যাপী এ নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪টি পদে মোট ৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পদে আরো পাঁচজন আইনজীবী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেল দুটির মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। 

বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক পদে এম মাহবুবউদ্দিন খোকন নির্বাচন করছেন। 

অন্যদিকে সরকার সমর্থিত আওয়ামী লীগপন্থী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদে সাদা প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সভাপতি পদে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং সম্পাদক পদে লড়ছেন শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। 

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার এ ওয়াই মশিউজ্জামান বলেন, গত ১ থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ ও দাখিল এবং ১৪ মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ ছিল। ২১ ও ২২ মার্চ দুদিন ভোট গ্রহণ হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছয় হাজার ১৫২ জন। কার্যনির্বাহী কমিটির মোট ১৪টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সরকার সমর্থক প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সভাপতি পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, সহসভাপতি আলহাজ আলালউদ্দীন ও ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান, ট্রেজারার ড. মোহাম্মদ ইকবাল করিম, সহসম্পাদক মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক ও ইয়াদিয়া জামান, সদস্য ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী, হুমায়ুন কবির, চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, শাহানা পারভীন, রুহুল আমিন তুহিন, শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া ও মোহাম্মদ মুজিবর রহমান সম্রাট।

বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সভাপতি ও বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন সম্পাদক, সহসভাপতি ড. মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, এম গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার, সহসম্পাদক কাজী জয়নুল আবেদীন, আনজুমানারা বেগম, সদস্য ব্যারিস্টার সাইফুর আলম মাহমুদ, মো. জাহাঙ্গীর জমাদ্দার, মো. এমদাদুল হক, মাহফুজ বিন ইউসুফ, সৈয়দা শাহীনারা লাইলী, মো. আহসান উল্লাহ ও মোহাম্মদ মেহদী হাসান।

এ ছাড়া আরো পাঁচজন বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হচ্ছেন সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ ও শাহ খসরুজ্জামান, সহসভাপতি পদে মো. আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, সম্পাদক পদে আলহাজ মোহাম্মদ আবুল বাসার ও সদস্যপদে তাপস কুমার দাস।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান সরকার কাজ করছে। আইনজীবীদের সব উন্নয়নে আমি অতীতেও কাজ করেছি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকব।’

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে সম্পাদক পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, ‘মর্যাদার দিক থেকে বিচার বিভাগ তলানিতে পৌঁছেছে। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে যেভাবে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে, তা বিচার বিভাগে নজিরবিহীন। এখন স্বাধীনভাবে কোনো বিচারক কাজ করতে পারছেন না।’
খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে খোকন বলেন, ‘উচ্চ আদালত এবং নিম্ন আদালতে সর্বত্র এখনো এস কে সিনহা-ভীতি কাজ করছে। এ জন্য বিচারকদের সাহস জোগানোর প্রয়োজন আছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

২০১৭-১৮ সেশনের নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সম্পাদকসহ মোট আটটি পদে জয়ী হয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল)। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের মোর্চা সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) পেয়েছিল ছয়টি পদ।