২৫ মার্চ রাতে ১ মিনিট স্তব্ধ থাকবে বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি : পিআইডি

আগামী ২৫ মার্চ রাত ৯ টা থেকে ৯ টা ১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিট গোটা দেশ স্তব্ধ থাকবে। যে যেখানে থাকবেন সেখানেই থেমে থাকবেন। আলো বন্ধ থাকবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক নিরস্ত্র বাঙ্গালী জাতির ওপর পরিচালিত গণহত্যার ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে সরকার এ ‘ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এ তথ্য জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ বুধবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।  

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, ‘২৫ মার্চকে আমরা আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে প্রস্তাব পেশ করেছি। এখন আমরা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছি। তাদের কাছ থেকে সাড়া পেলেই আমরা চুড়ান্তভাবে তা পেশ করবো। বর্তমানে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালিত হয়। এটি কেন হয় তা কেউ বলতে পারে না। আমরাও জানি না।’

আগামী ২৫ মার্চ রাতের কর্মসূচি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যে যেখানে থাকবেন সেখানেই দাঁড়িয়ে যাবেন। যানবাহন বন্ধ থাকবে। বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ থাকবে। আমরা ৯ টা বাজার ২ মিনিট আগে বিভিন্ন সেবা সংস্থার মাধ্যমে সাইরেন বাজানো ও মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দেওয়ার বিষয়ে ভাবছি। আমরা চাই দেশের সব মানুষ যেনো এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।’

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচির বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দেশের সব মুক্তিযুদ্ধার জন্য একই ডিজাইনে কবর ও সমাধি করার প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। এতে করে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষভাবে সম্মান দেখাতে পারবে এবং তাঁরা সহজেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কবর চিহ্নিত করতে পারবে।’

মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বিভিন্ন কোটা বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতের দেওয়া তালিকা ধরেই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করেছি। এর বাইরে আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়ে যাচাই বাচাই চলছে। এটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত সংখ্যা বলা যাবে না। তবে ধারনা করছি আরো ১০ শতাংশ বাড়তে পারে।’