কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বটতলী এলাকা তাঁদের আটকের পর পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন এবং উদ্ধার করে ওই ছাত্রীকে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন সদর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মানিক হোসেন (২৩) ও পাশের গন্ধব্যপুর গ্রামের খোরশেদ আলম (২১)।
আজ রোববার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ওই কলেজছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। এর আগে দুপুরে ওই ছাত্রী চন্দ্রগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
পুলিশ ও কলেজছাত্রীর একাধিক স্বজন জানায়, গত ১৭ মে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে কলেজের উদ্দেশে রওনা হয়। সদর উপজেলার পশ্চিম বটতলী স্থানে পৌঁছালে মানিক হোসেন ও খোরশেদ আলম তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর অজ্ঞাত স্থানে আটক রেখে তাকে ধর্ষণ করে দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করা হয়। ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তারা ছাত্রীর পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের দাবি করা টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেয় ছাত্রীর পরিবার। মানিক ও খোরশেদ গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার বটতলীতে টাকা নিতে এলে স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করে পিটুনি দেয় এবং ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এরপর পুলিশে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।