বিএনপির চোখে ছানি পড়েছে : তথ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সবুজ কলি বিদ্যালয়ে আজ শনিবার দুপুরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ছবি : এনটিভি

গোটা বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পেলেও বিএনপি তা দেখতে পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আর এই না দেখার কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলছেন, বিএনপির চোখে ছানি পড়েছে। যে কারণে তারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছে না।

আজ শনিবার দুপুরে দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সবুজ কলি বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনাসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সারাবিশ্ব, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন দেখল। কেবল শুধুমাত্র বিএনপির চোখে ছানি থাকার জন্যে বিএনপি এই উন্নয়ন দেখতে পারলো না। সেই বিএনপি যখন বলে বাংলাদেশে সুশাসন পায়ের তলে পিষ্ট, সেখানে আমি বলবো বাংলাদেশে নিয়ম মতোন নির্বাচন হচ্ছে স্থানীয় সরকারের। জাতীয় সংসদের নির্বাচন হচ্ছে। কোনো সময়ের হেরফের হচ্ছে না। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এখানে গণমাধ্যমের প্রসার এবং বিকাশ ঘটছে এবং এখানে সংবিধান অনুযায়ী বক্তব্য, বিবৃতি প্রদান, সভা-সেমিনার করার এবং সমালোচনা করার সাংবিধানিক অধিকার আছে।’

সরকার জঙ্গি-সন্ত্রাস, নাশকতাসহ অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষা করছে বলেও উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সরকার কোনোভাবেই স্বৈরাচার বা স্বৈরতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডে নেই। বরঞ্চ বাংলাদেশে একটি অস্বাভাবিক, অসাংবিধানিক, ভুতের সরকার তৈরি করার অন্তর্ঘাত, নাশকতামূলক কাজ চালাচ্ছে একটি মহল যারা চিহ্ণিত তারাই হচ্ছে বিএনপি এবং খালেদা জিয়া।’

গতকাল শুক্রবার বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত “বিশ্বের নতুন পাঁচ ‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায়’ বাংলাদেশ” শীর্ষক প্রতিবেদনের সমালোচনা করেন হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ‘তারা (বিবিসি বাংলা) এক চোখা প্রতিবেদন দিচ্ছে। জঙ্গি সন্ত্রাস দমনের ঘটনাকে তারা অন্যভাবে চিত্রায়িত করছে। এটা ঠিক না। পৃথিবীর কোথাও অগণতান্ত্রিক শক্তি বিনাশের বিপক্ষে কেউ ওকালতি করে না।’

অনুষ্ঠানে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল মারুফ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, নারী জোটের আহ্বায়ক তথ্যমন্ত্রীর স্ত্রী আফরোজা হক রীনা বক্তব্য দেন।

এ সময় বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।