নকলায় একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বীর বর্জন, আ. লীগের জয়

Looks like you've blocked notifications!
শেরপুরের নকলা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম সোহাগ। ছবি : সংগৃহীত

শেরপুরের নকলা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম সোহাগ জয়ী হয়েছেন।

উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মোতাহসিম আজ বৃহস্পতিবার নকলা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে দুপুরেই সোহাগের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। অন্যদিকে স্থানীয় বিএনপি অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচনে অংশগ্রহণই করেনি।

বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুল আলম সোহাগ ৫১ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান উদ্দিন পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৩৬ ভোট।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের সংখ্যা ছিল কম। এর মধ্যেও বিভিন্ন কেন্দ্রে জালভোট প্রদানের অভিযোগ পাওয়া যায়। অন্তত দুটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

এমন অবস্থায় দুপুরে স্বতন্ত্র প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যাপকহারে জালভোট দিয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রে জোরজবরদস্তিও করেছে তারা। এ ব্যাপারে ভোটের দায়িত্ব থাকা সরকারি কর্মকর্তা তথা প্রশাসনও ছিলেন নীরব। এসব কারণেই এই নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি ভোট বর্জন করেন।

আজ সকাল ৮টা থেকে নকলা উপজেলার মোট ৬৩টি কেন্দ্রে এই উপজেলায় ভোট নেওয়া হয়। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও দুপুরে পাঠাকাটা কেন্দ্রে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ছাড়া চন্দ্রকোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জালভোটের অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

নকলা উপজেলা পরিষদে বিএনপিদলীয় চেয়ারম্যান মাহবুব আলী চৌধুরী ওরফে মনির চৌধুরীর মৃত্যুর পর পদটি শূন্য হয়। মাত্র ১১ মাস বাকি রয়েছে উপজেলা পরিষদের মেয়াদের। আর ১১ মাসের এই শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন করেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা।

উপজেলায় মোট ভোটার এক লাখ ৫১ হাজার ২৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭৪ হাজার ৩৫৮ জন ও নারী ৭৬ হাজার ৯২৫ জন। ৬৩টি কেন্দ্রের জন্য ৬৩ প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০৫ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৬১০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন।