মাগুরায় ঝড়ে তিনজনের মৃত্যু, ঘরবাড়ি-ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

Looks like you've blocked notifications!
মাগুরা সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে বাবার বুকে ছেলে রোহানের মৃতদেহ। ছবি : এনটিভি

মাগুরা সদর উপজেলার ছনপুর, জগদল ও মাধবপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ঝড়ে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।

মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান জানান, শুক্রবার বিকেলে বছরের প্রথম কালবৈশাখীতে সারা দেশের মতো মাগুরা জেলার সদর উপজেলার ছনপুর, মাধবপুর, জগদল বিনোদপুরসহ কয়েকটি এলাকায় আঘাত হানে। ওই সময় গাছের ডালচাপা পড়ে আহত হন মাগুরা মোল্লাপাড়ার আলী হোসেন (৪০)। আজ শনিবার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ছাড়া শুক্রবার বিকেলে ঝড়ের সময় সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের শিশু রোহান (৫) পাশের বাড়িতে তার মাকে ডাকতে গিয়ে প্রচণ্ড বাতাসে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। সেখানে ডুবে তার মৃত্যু হয়।

শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার বেরইল পলিতা গ্রামের কৃষক আকরাম হোসেন (৪৫) ঝড়ের সময় বজ্রপাতে মারা যান।

ঝড়ের তাণ্ডবে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও ৫০ হেক্টর ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কৃষি বিভাগ, এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে।

জেলা প্রশাসক মো. আতিকুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য এরই মধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ২০ বান্ডেল টিন ও ৫০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, প্রচণ্ড শিলা বৃষ্টিতে টিন ছিদ্র হয়ে ঘরের মধ্য পানি প্রবেশ করেছে। বসত ঘরগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শিলা বৃষ্টিতে ধানের শীষ ভেঙে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ধানক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এ ক্ষতি সাধারণ কৃষকেরা কোনোভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারবে না বলে তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

ঝড়ে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতিদের চিহ্নিত করে সরকারের দেওয়া সহযোগিতা দ্রুত পৌঁছে দিতে পারলে ক্ষতিগ্রস্তরা কিছুটা হলেও উপকৃত হতো বলে এলাকার মানুষ মনে করেন।