নৌমন্ত্রীর সমর্থকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৫

Looks like you've blocked notifications!

যুবলীগের সম্মেলন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর শহরে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন। তাদের মধ্যে আটজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের পর পুলিশ ৫০টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ শনিবার মাদারীপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব সরদারের সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রলীগের মাথিনুর রহমান রূপস খান ও মঞ্জুর আলী মিরাজের সমর্থকদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরেই গতকাল সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।

এর মধ্যে সজীব সরদার মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান শফিক খানের সমর্থক। আর রূপস খান জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ভাই ওবায়দুর রহমান কালু খানের ছেলে। দুজনই আবার নৌপরিবহনমন্ত্রীর সমর্থক।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে মাদারীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামল বিশ্বাস, এসআই হাসানুজ্জামান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসগরসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ইমরানুর রহমান সনেট বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জন গুলিবিদ্ধ মনে হচ্ছে, এক্স-রে করলে জানা যাবে। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা গুরুতর। এদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, হঠাৎ করেই দুই পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ ৫০টি ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।