হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে জোবরা স্কুলে কর্মবিরতি

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রামের হাটহাজারী জোবরা পিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হাটহাজারী জোবরা পিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রন না জানানোর ঘটনায় স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের রুম ভাঙচুর ও হুমকির ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. সফিউল আলম বাদী হয়ে স্থানীয় আট যুবককে আসামি করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন মিজানুর রহমান, সোহেল মেম্বার, গাড়িচালক মো. হানিফ, মো. ইকবাল, মোরশেদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আহম্মদ কবির বাল্লা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মো. শফি। শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

শিক্ষকরা জানান, গত বুধবার স্থানীয় আট-দশজন সন্ত্রাসী কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক মিলনায়তনের বিভিন্ন রুম ভাঙচুর করে। মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ সময় উপস্থিত শিক্ষকদের মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহামুদ ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনকে স্মারকলিপি দিয়ে শিক্ষকরা তাঁদের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন।

জোবরা পিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক আহমেদ হোসেন জানান, গত ৩১ মার্চ প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্টানে সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে অতিথি করা হয়। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।

আহমেদ হোসেন জানান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। তিনি অপরাগতা প্রকাশ করায় তাঁর ছাত্র সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে অতিথি করেন। এ অনুষ্ঠানের পর থেকে সন্ত্রাসীরা নানাভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করছে বলে জানান তিনি।

এর আগেও সন্ত্রাসী মিজানের নেতৃত্বে শিক্ষককে লাঞ্ছিত, ছাত্রদের ওপর হামলাসহ নানা ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন মিজান।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজে চাঁদা দাবি ও অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খান।