‘এই রাজাকারের বাচ্চাদের আমরা দেখে নিব’

Looks like you've blocked notifications!
সংসদে বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘পরিষ্কার বলতে চাই মুক্তিযুদ্ধ করেছি, মুক্তিযুদ্ধ চলছে, চলবে। এই রাজাকারের বাচ্চাদের অবশ্যই আমরা দেখে নিব।’

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এসব কথা বলেন মতিয়া চৌধুরী। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন এবং গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভাঙচুর প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে মতিয়া চৌধুরী সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে বাসভবনে হামলা চালিয়ে উপাচর্যের গায়ে হাত দেওয়া, ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালানো, এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি জঘন্য অপরাধ। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের নামে সাধারণ ছাত্রদের ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে গতকাল এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এরা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের উত্তরসূরি।’

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘মূল গাত্রদাহ মুক্তিযোদ্ধা কোটা। পৃথিবীর দেশে দেশে যারা স্বাধীনতার জন্য জীবনবাজি রাখে তাদের সন্তানদের জন্য বিশেষ সুযোগ থাকে। এদের দাবি রাজাকারের সন্তানদের জন্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা সংকুচিত করা। পরিষ্কার বলতে চাই মুক্তিযুদ্ধ করেছি, মুক্তিযুদ্ধ চলছে- মুক্তিযুদ্ধ চলবে এবং রাজাকারের বংশধরদের অবশ্যই আমরা দেখে নেব। তবে ছাত্রদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো রাগ নেই। কারণ ফেইসবুকে যারা স্ট্যাটাস দিয়েছে এরা তো ছাত্র না, এরা মতলববাজ, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের এজেন্ট। এদের সম্পর্কে সামান্যতম শৈথিল্য আমরা দেখতে চাই না।’

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘অভাবে অনটনে থেকে গ্রামের স্কুলে যে ছাত্রটি পড়াশুনা করে তার গ্রুমিং আর ঢাকা শহরের নামিদামি স্কুলে যে পড়াশুনা করে তার গ্রুমিং এক হবে না। সে আবছায়ায় আছে তাকে আলোতে আনতে অবশ্যই বিশেষ সুবিধা দিতে হবে, এটাই দেশের শাসনতন্ত্রে রয়েছে।’

মতিয়া বলেন, ‘সমপর্যায়ে এনে সমান সুযোগ দিয়ে তারপর মেধার বিচার করবেন।’

সাঈদীকে চাঁদে নিয়ে গিয়ে যারা দেশে অরাজকতা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে আঘাত করতে চায় তাদের ধিক্কার জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এদের কোনো ক্ষমা নেই, এদের ক্ষমা করা যাবে না। হয় এরা এ দেশে থাকবে, না হয় আমরা থাকব। এটাই হোক আজকের অঙ্গীকার।‘

তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘জাতির জনকের প্রতিকৃতি ভাঙা এটা কোনোভাবেই আমরা দাবি আদায়ের পথ বলতে পারি না। ছাত্র আন্দোলন বহু দেখা গেছে। কিন্তু কোনোদিনই এ ধরনের নৈরাজ্য কিন্তু দেখিনি। সে কারণে আমরা আন্তরিকভাবে লজ্জিত এবং দুঃখিত, কারণ একটা বয়সে আমরাও ছাত্র ছিলাম।’