‘এত দিন হারিকেনের আলোয় বই পড়েছি’
‘এত দিন হারিকেন বাতির আলোয় বই পড়েছি। প্রচণ্ড গরমে অস্থির হয়ে হাত পাখার বাতাস খেয়ে শরীর ঠান্ডা করার চেষ্টা করেছি। স্কুলে তীব্র গরমে লেখাপড়া করতে নাভিশ্বাস উঠত। আর এখন আমাদের গ্রামে সব বাড়িতে বিদ্যুৎ এসেছে। আমরা বিদ্যুতের আলোয় বই পড়ছি। ঘরে মাথার ওপর ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা।’
এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছে সাতক্ষীরার দেবীশহর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মৌমিতা দাস।
আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে মৌমিতা। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এই ভিডি কনফারেন্সে যোগ দেন। তিনি আজ সাতক্ষীরার দেবহাটাসহ ১৫ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘দেবহাটা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের সব গ্রাম বিদ্যুতায়িত হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর ও আশাশুনি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে। সাতক্ষীরায় উন্নয়ন কাজ চলছে অব্যাহত গতিতে।’
আলোচনার একপর্যায়ে সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বহু কাঙ্ক্ষিত কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এতে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তিনি এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত সব উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি জনগণের ভোগান্তি দূরীকরণ ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা খাতুন, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক রবীন্দ্রনাথ দাসসহ সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা।