বাজেটের সমপরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়
রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, একসময় ২২টি পরিবার পূর্ব পাকিস্তান থেকে টাকা পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করত। এখনো দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। এখন দেশে যে টাকার বাজেট হয়, সেই পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়।
টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বাদশা বলেন, দেশের উন্নয়নে আঞ্চলিক বৈষম্য করা যাবে না, এটা সংবিধানের কথা। কিন্তু সাংবিধানিক এ কথার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ঢাকাকেন্দ্রিক শিল্পায়নকে ঢাকার বাইরে নিয়ে আসতে হবে। ঢাকায় যাঁরা গার্মেন্ট শিল্প করেন, তাঁরা ৫ শতাংশ প্রণোদনা পান। ঢাকার বাইরে যাঁরা শিল্প করবেন, তাঁদের ৮ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া দরকার। এতে দেশের ভেতরের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর হবে।
আজ রোববার সকালে রাজশাহী কর কমিশনারের কার্যালয়ে ‘রাজস্ব হালখাতা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাদশা এসব কথা বলেন। বকেয়া আয়কর আদায়ে এবার বৈশাখী উৎসব উপলক্ষে রোববার দিনব্যাপী এই হালখাতার আয়োজন করা হয়।
সকালে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে হালখাতার উদ্বোধন করেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি নিজেও এক লাখ ৬৮ হাজার ৯৪২ টাকার বকেয়া আয়কর পরিশোধ করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বাদশা বলেন, ‘আমাদের দেশের ধনী মানুষরা রাষ্ট্রব্যবস্থা, করব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা কর বিভাগের থাকলে বৈষম্য দূর হতো। তাই প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ক্ষমতা কর বিভাগকে দিতে হবে। কর না দিলে জেলখানায় থাকতে হবে, এর বাইরে কোনো নিয়ম থাকা চলবে না। কর আদায় করতে হবে, এতে কোনো নমনীয়তা থাকতে পারে না।’
রাজশাহী কর অঞ্চলের কর কমিশনার ড. খন্দকার মো. ফেরদৌস আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত কর কমিশনার মীর্জা আশিক রানা। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে রাজশাহী কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মহসিন খান এবং রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বক্তব্য দেন।
সকালে হালখাতা শুরুর পর থেকেই কর পরিশোধ করেন রাজশাহী কর অঞ্চলের করদাতারা। হালখাতায় কর পরিশোধকারী আয়করদাতাদের রসগোল্লা, কালোজাম, সন্দেশ, বাতাসা, মণ্ডা, জিলাপি, লুচি, পুরি, বুন্দিয়া, মুড়ি, মুড়কি, চিড়াসহ নানা খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।