‘কিছু মানুষ ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে’

Looks like you've blocked notifications!
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এমপি মিজানুর রহমান। ছবি : এনটিভি

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘কিছু মানুষ আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে এ ধরনের বানোয়াট, মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।’

আজ সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় এমপি মিজানুর রহমানকে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদশেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মিজানুর রহমান খুলনা সদর ও সোনাডাঙা আসনের এমপি। গত ৪ এপ্রিল এমপি মিজানুরকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি খুলনা সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারির কাজ নিজ পরিবারের সদস্যদের দিয়ে করিয়েছেন। নামমাত্র কাজ করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ মিজানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।

সোমবার প্রায় চার ঘণ্টা দুদকের উপপরিচালক মঞ্জুর মোরশেদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিজান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সাংবাদিকদের কাছে এমপি মিজানুর বলেন, ‘কিছু মানুষ আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে এ ধরনের বানোয়াট, মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। একটি মহল; যারা এ কাজটি করছে তারা খুবই ক্ষমতাশালী।’

তবে এমপি মিজানের অভিযোগ অস্বীকার করে দুদকের সচিব শামসুল আরেফিন বলেছেন, ‘স্বাধীনভাবে তদন্ত করে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।’

শামসুল আরেফিন বলেন, ‘ভুল তথ্যের ভিত্তিতে কাউকে হেয় করার কোনো অধিকার আমাদের নেই। এখানে যখন একটা অভিযোগ আসে সেটা যাচাই বাছাই হয়। প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ের পর যদি কিছুটা সত্যতা পাওয়া যায় তখনই কাউকে ডাকা হয়। সরকারি এমপি বা বেসরকারি এমপি এ রকম কোনো তালিকা আমাদের নেই। আমরা দেখি দুদকে যে অভিযোগগুলো আসে সে অভিযোগগুলোর মধ্যে দুর্নীতির সংশ্লেষ আছে কি না।’  

এদিকে, লালমনিরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলু এবং নাটোরের সাবেক সাংসদ রুহুল কুদ্দুস দুলুর বিরুদ্ধে পাওয়া দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে গত ৪ মার্চ অনুসন্ধানে করে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ ছাড়া স্বতন্ত্র এমপি কামরুল আশরাফ খানের বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।