কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমে এসডিজি অর্জিত হবে

Looks like you've blocked notifications!

দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে পরিবহন পুল ভবনে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। 

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।

শিক্ষা অগ্রাধিকার হলেও কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে যারা তরুণ, চিরকাল তারা তরুণ থাকবে না। এখনই তাদের দক্ষতা দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমেই তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা দেওয়া সম্ভব। এরা দেশে-বিদেশে কাজ করতে পারবে।’

উন্নত বিশ্বের শতকরা ৬০ থেকে ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারিগরি ট্রেডে পড়াশুনা করে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশেও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর হার দ্রুত বাড়াতে হবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে ভিশন ২০২১ অর্জন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে জনপ্রিয় করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, তা অর্জনের জন্য কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল পুনর্গঠন করে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।

সরকার এরই মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ১৪ শতাংশ ভর্তি হার নিশ্চিত করেছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার এই হার ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ও ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতি উপজেলায় একটি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে।

যেসব জেলায় বর্তমানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নেই, সেই ২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিভাগীয় শহরে আরো চারটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

নুরুল ইসলাম নাহিদ মনে করেন, সরকারের এই সব উদ্যোগ দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কেননা, দক্ষ জনশক্তিই পারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে।