ফারমার্স ব্যাংকের চিশতীসহ ৪জন কারাগারে
১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান ও তাঁর ছেলেসহ চারজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক শামছুল আলম আসামিদের রিমান্ড শেষে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হিরু জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন-ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী, তাঁর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল সিএমএম আদালত আসামি মাহবুবুল হক চিশতীর পাঁচদিন ও অপর তিন আসামির চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিনই দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল। রাজধানীর গুলশান থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করে দুদক।
মামলায় মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী ও এবং ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেনকেও আসামি করা হয়।
নথি থেকে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে ক্রয়কৃত ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।