রাজীবের মৃত্যুর পর মামলায় নতুন ধারা

Looks like you've blocked notifications!

হাসপাতালে টানা ১৩দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চির বিদায় নিয়েছেন দুই বাসের চাপায় হাত হারানো রাজীব হোসেন। দুর্ঘটনার পর রাজধানীর শাহবাগ থানায় যে মামলাটি হয়েছিল, তাতে বাদি ছিলেন রাজীব নিজেই।

রাজিব মারা যাওয়াতে সেই মামলায় নতুন ধারা যুক্ত করছে পুলিশ। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, বাদি মারা যাওয়ায় ওই মামলায় নতুন ধারা যোগ করা হবে। গাড়ি চাপায় মেরে ফেলার জন্য ৩০৪ এর ‘খ’ ধারা যুক্ত করে মামলার নথি আদালতে পাঠানো হবে।

গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের বাসের চাপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজীবের একটি হাত। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজীবকে শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাজীবকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাতে মারা যান তিনি।

শমরিতা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর পুলিশ রাজীবকে বাদি করেই মামলা এজাহারভুক্ত করে। কিন্তু ওই মামলায় কেবল দুর্ঘটনাজনিত কারণে হাত হারানোর বিষয়টি উল্লেখ ছিল।

শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঘটনার দিনই দুটি বাস ও বিআরটিসি বাসচালক ওয়াহিদকে আটক করা হয় এবং পরবর্তীতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বজন পরিবহনের চালক খোরশেদকেও আটক করা হয়। তারা এখন কারাগারে আছেন। মামলার বাদি যেহেতু মৃত্যুবরণ করেছেন, সেহেতু ওই মামলার সঙ্গে নতুন ধারা যুক্ত করা হবে। ওসি আবুল হাসান জানান, গাড়ি চাপায় মেরে ফেলার জন্য ৩০৪ এর ‘খ’ ধারা যুক্ত করে মামলার নথি আদালতে পাঠানো হবে।

গত ৩ এপ্রিল দুপুরে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে গা ঘেঁষে অতিক্রম করে। এ সময় দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এতে তাঁর মাথায়ও প্রচণ্ড আঘাত লাগে।