ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা মানলে জেলেরা লাভ পাবে : আমু
ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে তাতে জেলেদেরই লাভ হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ ব্যাপারে সরকারি প্রণোদনা দেওয়ার পরও যদি জেলেরা নিষেধাজ্ঞা পালন না করে তাহলে সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নিবন্ধনকৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যে আইডি কার্ড বিতরণ ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মৎস্যসম্পদ রক্ষার আহ্বান জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেছেন, আগে মিয়ানমার থেকে ফরমালিন দেওয়া মাছ আমদানি করা হতো। এখন আর সেই মাছ আমদানি করা হয় না। এখন বাংলাদেশের মাছ ব্যাপকভাবে উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা নিতে হবে। মাছ জাতীয় সম্পদ। তাই এই সম্পদ রক্ষা করার জন্য যে আইন রয়েছে, সে আইন পালন করতে হবে। এর ব্যতয় ঘটলে প্রয়োজনে সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, জেলেরা মাছ বিক্রি করেন এবং মাছ খান। দুই দিকেই তাদের লাভ। সুতরাং মাছে বেশি লাভ করতে হলে এটাকে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। মাছ না থাকলে তাদের আয় বন্ধ হয়ে যাবে, তাই সরকার ইলিশ মাছ রক্ষায় জাটকা সংরক্ষণ আইন করেছে। এই আইন মানলে সুফল জেলেরাই ভোগ করবেন। এ জন্য সরকার তাদের ৪০ কেজি করে চালও দিচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নমিতা দে। এ সময় আরো বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্তকর্তা রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, নলছিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস লস্কর ও নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন চৌধুরী।
পরে শিল্পমন্ত্রী উপজেলার নিবন্ধনকৃত জেলেদের হাতে আইডি কার্ড তুলে দেন। এ ছাড়া শিল্পমন্ত্রী দুপুর ১২টায় উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করেন।