বসুন্ধরা সিটিতে অভিযান, হাজারো ফোন সেট জব্দ
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে অভিযান চালিয়ে এক হাজারের বেশি অবৈধ মোবাইল ফোন সেট জব্দ করেছে র্যাব-বিটিআরসি। অবৈধভাবে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে আনা ও আইএমইএ নম্বর না থাকায় এসব মোবাইল সেট জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ মোবাইল সেট বিক্রির অপরাধে ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা জরিমানাসহ বিভিন্ন দণ্ড দেওয়া হয়।
urgentPhoto
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে র্যাব-বিটিআরসির যৌথ অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম ও বিটিআরসির পরিচালক লে. কর্নেল জুবায়ের। এ ছাড়া অভিযানে বিটিআরসির কয়েকজন কর্মকর্তা ও র্যাবের ২৫ থেকে ৩০ জন সদস্য অংশ নেন।
বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের একতলা, পাঁচতলা ও ছয়তলায় অভিযান চলে। অভিযানে আমদানি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে দেশের বাজারে আসা এইচটিসি, স্যামসাং, সনিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট জব্দ করা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি জব্দ হয়েছে এইচটিসি ব্যান্ডের সেট। বসুন্ধরা সিটির একতলার গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইলেকট্রো এন্টারপ্রাইজ, ফোন এক্সচেঞ্জ এবং ছয়তলার সিয়াম ইলেকট্রনিকস, আইডিয়াল টেলিকম, টেলি পার্ক, রিগ্যান টেলিকম, আল ইসলাম টেলিকম, মেহেদী টেলিকম, খান মোবাইল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকসসহ কয়েকটি মোবাইলের দোকানকে ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও করা হয়।
অভিযান শেষে সাংবাদিকদের কাছে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বলেন, জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হয়।
অনেক মোবাইল ফোনের বিক্রেতা আগে ঘোষণা দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগ করেন। এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বলেন, এখানে আগে থেকে ঘোষণার কিছু নয়। এখানে অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা প্রসঙ্গ। সরকারের শত শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে তারা। এই অপরাধের কারণে বেশ কিছু দোকান থেকে মোবাইল সেট জব্দ করা হয়েছে। কয়েকজনকে দণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসির পরিচালক লে. কর্নেল জুবায়ের বলেন, অবৈধ সেটের আইএমইআই ঠিক থাকে না। চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধে এসব মোবাইল সেট ব্যবহার হয়।
বসুন্ধরা সিটির ছয়তলার মোবাইলের দোকান মেহেদী টেলিকমের মালিক হামিদুল ইসলাম বাবু বলেন, তাঁর দোকান থেকে ২৫টি সেট জব্দ করা হয়েছে যার মূল্য চার লাখ টাকা। এগুলো এইচটিসি ও সনি ব্র্যান্ডের। তিনি দাবি করেন, মালয়েশিয়ার থেকে নির্দিষ্ট একটি চক্র বিক্রয় মেমো দিয়ে তাঁদের কাছে মোবাইল সেট সরবরাহ করে। এগুলো শুল্ক দিয়ে আনা কি না, তা তিনি জানেন না।