প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

Looks like you've blocked notifications!
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে আসা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি : এনটিভি

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সরজমিনে দেখতে আসা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। 

প্রতিনিধিদলটি আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করে। 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ বসবাস করে। এর আগেও ১৯৭৭ সালে রোহিঙ্গারা এ দেশে এসেছিল। কিন্তু এবার তারা অনেক বেশি সংকটাপন্ন ও নাজুক অবস্থায় বাংলাদেশে এসেছে। সে জন্যই আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি।’

সম্পূর্ণ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পুনর্বাসন করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আবারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

মিয়ানমার সেনাদের নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করতে গত শনিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের ৩০ সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসে। 

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন চলতি (এপ্রিল) মাসের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর গুস্তাভো মেজা-চুয়াদ্রা।

গতকাল রোববার প্রতিনিধিদলের সদস্যরা কক্সবাজারের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রুর কোনারপাড়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা চারটি দলে ভাগ হয়ে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের মুখ থেকে নির্যাতনের বক্তব্য শোনেন। শূন্যরেখা থেকে ফিরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। শেষে কুতুপালং ডি ব্লকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁরা মিয়ানমারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। 

মিয়ানমারে গিয়েও প্রতিনিধিদলটি সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবে। শেষে নিউইয়র্কে ফিরে এ ব্যাপারে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। 

রাখাইনে সহিংসতার শিকার হয়ে গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। 

জাতিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের গ্রামে অভিযান শুরু করে। অভিযানে রোহিঙ্গা নারী-শিশু ধর্ষণ, হত্যাসহ তাঁদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। জাতিসংঘ এই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ অভিযান হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।