তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেটি ভুলে গেলে চলবে না। দুই-দুইটা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সে বিদেশের মাটিতে অবস্থান করছে। ব্রিটিশ সরকারের সাথে আমাদের আলোচনা চলছে।
আজ বুধবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন এবং তিনি সেই প্রশ্নের জবাব দেন।
যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এর আগেও আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ফিরিয়ে এনেছি। তাই তারেক রহমান যেহেতু সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন মেনে তারেককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ বিদেশের মাটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হয়। তারপর একটি ট্রাবল সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এবং সেটিতে লেখা থাকে পাসপোর্ট জমা দেওয়া লোককে কখনও নিজের দেশে ফিরতে হবে না। আর যদি সে নিজ দেশে ফিরে আসতে চায় তাহলে তার আর রাজনৈতিক আশ্রয় থাকবে না।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপিতে কি একজন নেতা খুঁজে পেল না। তারা তো এতে বড় রাজনৈতিক দল। তাহলে কেন একজন পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে (তারেক রহমান) দলের চেয়ারপারসন বানাতে হবে? এটাতো রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ছাড়া আর কিছু নয়।