গাজীপুরে নির্বাচন স্থগিতের পর ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে বিএনপিদলীয় মেয়র পদপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের বাড়ির সামনে থেকে গতকাল রোববার বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণাকে কেন্দ্র করে টঙ্গীতে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার ওই ঘটনায় করা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইজাদুর রহমান, ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুসুল্লী, হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি নাসির উদ্দিনসহ ১০৩ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো দেড়শজনকে আসামি করা হয়েছে।

টঙ্গী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বাদী হয়ে সোমবার এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, উচ্চ আদালতের আদেশে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন গতকাল রোববার স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এ স্থগিতাদেশ ঘোষণার পর বিকেলে টঙ্গী চেরাগআলীর পাইলট মার্কেটের পাশে স্টার ওভেন রেস্টুরেন্টের সামনে রাস্তায় অন্তর্ঘাত কার্যদ্বারা বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা ষড়যন্ত্রমূলক জননিরাপত্তা বিপন্ন, নাশকতা সৃষ্টি করেছিল। এ সময় তারা রাস্তায় কিছু গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করে। এ সময় বাকিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে আটক ব্যক্তিরা হলেন হাজি সামাদ (৬০), ফরিদ আহমেদ (৪০), আবদুর রশিদ (৫৫), শফিউল্লাহ খান (৫৫), গাজী মোশারফ (৩২), মো. আব্দুল্লাহ (৩৩), তৌহিদ মিয়া (৩২), মো. আলাউদ্দিন (৩২), শহিদুল ইসলাম (২৯), সাব্বির আহমেদ (২৮), আজাদ হোসেন (৩০) ও মাকসুদুর রহমান (৩২)। সোমবার সকালে দায়ের করা মামলায় ওই ১২ জনসহ ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে বিএনপিদলীয় মেয়র পদপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, টঙ্গীতে কোনো ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন স্থগিত নিয়ে বিকেলে তাঁর বাড়িতে একটি সংবাদ সম্মেলন শেষ করে নেতাকর্মীরা ফিরে যাওয়ার পথে তাদের আটক করে।

হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ভয় পাচ্ছে। ভয়ের কারণেই তারা নানাভাবে নেতাকর্মীদের হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

টঙ্গীর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন মামলা দায়েরের কথা নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।