খুলনা সিটি ভোট

সেনা চান মঞ্জু, খালেকের না

Looks like you've blocked notifications!
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারের দিন প্রায় শেষের দিকে। ছবি : এনটিভি

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারের দিন প্রায় শেষের দিকে। ফলে দিনের শুরু থেকেই মেয়র পদপ্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচার শুরু করেন।

আজ শনিবার দিনের শুরুতে দলের মহানগর কমিটির দপ্তর সম্পাদকসহ ২১ জনকে আটকের তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেন বিএনপি মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এ সময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে  সেনা মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।

অপরদিকে, আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক কোনো বাহিনী মোতায়েনের দরকার নেই দাবি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

সকালে মিয়াপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে গণসংযোগের আগে দ্বিতীয় দিনের মতো টানা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মেয়র পদপ্রার্থী বলেন, ‘বাড়ি থেকে বেরোলেই ডিবি, বেরোলেই পুলিশ। গণগ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। কর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারছে না। আত্মগোপনে থেকে গণসংযোগ করতে হচ্ছে। ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে দিচ্ছে না পুলিশ। অফিস থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার রাত ৩টা পর্যন্ত আরো ২১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ আতংকে রয়েছে দলীয় কর্মী এবং সাধারণ ভোটাররা। সরকারের সার্বিক আচরণে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের চূড়ান্ত রূপ দেখতে পাচ্ছে খুলনাবাসী। আর নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।’

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সরকারের উদ্দেশে বলেন, খুলনার জনগণ সাড়ে নয় বছরের আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ১৫ মে রায় দেবে। এমন বার্তা পেয়েই পুলিশকে ব্যবহার করে সরকার ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এই শহরে সন্ত্রাসের মেয়র হয়ে আপনার সম্মান বাড়বে না। এভাবে গণগ্রেপ্তার, অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যদি জিতেও যান তবে নগরবাসীর সামনে মুখ দেখাতে পারবেন না, অবিলম্বে পুলিশকে গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে বলুন’। তিনি তালুকদার আব্দুল খালেককে সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানান।

এদিকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অভিযোগ সম্পর্কে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র এডিসি সোনালী সেন জানান,  আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যা যা করণীয় পুলিশ তাই করছে। 

পাল্টা প্রশ্ন করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘৫০০ বাড়িতে যে অভিযান করেছে বলে বিএনপি মেয়র পদপ্রার্থী দাবি করছেন, পারলে উনি তালিকা দিক। যাদের নামে মামলা আছে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে। পুলিশের ভূমিকার জন্য এখন পর্যন্ত নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।’

ভোটারদের মধ্যে ভোটের দিনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও শংকা রয়েছে। কেউ সমর্থনের বিষয়টি সঠিকভাবে প্রকাশ করতে চাইছে না। খুলনা সিটি করপোরেশনের অলিগলিসহ সর্বত্র নির্বাচনী আমেজ।