শিল্পকলা পদক পেলেন সাত গুণী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/19/photo-1424364507.jpg)
শিল্পকলায় অবদান রাখায় দেশের সাত গুণীজনকে পদক দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আজ বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শাস্ত্রীয় সংগীত, যন্ত্রসংগীত, চারুকলা, নাটক, আবৃত্তি, নাচ ও ফটোগ্রাফি এই সাত বিভাগের কৃতী শিল্পীদের হাতে ‘শিল্পকলা পদক-২০১৪’ পুরস্কার তুলে দেন।
কণ্ঠসংগীতে অমরেশ রায় চৌধুরী, যন্ত্রসংগীতে (তবলা) মদন গোপাল দাস, চারুকলায় সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, নাটকে লাকি এনাম, আবৃত্তিতে আশরাফুল আলম, নৃত্যে বজলুর রহমান বাদল এবং প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ড. শহীদুল আলম ফটোগ্রাফির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আজ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সৃজনশীল প্রতিভার যথাযথ বিকাশে সহযোগিতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, সারা দেশে অনেক প্রতিভা রয়েছে এবং তাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। মূল্যায়নের অভাবে তারা যেন অপসংস্কৃতি বা সন্ত্রাসের দিকে এগিয়ে গিয়ে যেন চিরতরে হারিয়ে না যায়, সে লক্ষ্যে নতুন প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করতে হবে।’
২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের শিল্প ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য সম্মান জানাতে ‘শিল্পকলা পদক’ প্রবর্তন করে।
‘শিল্পকলা পদক’ গ্রহণকারী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, এই পুরস্কারে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁরা নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে আরো অবদান রাখবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের গান, নাচ, নাটক, যাত্রাপালা এবং চারুকলার নিজস্ব ঐতিহ্যে সমুজ্জ্বল।’ বাংলাদেশের রয়েছে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও চারুকলার ঐতিহ্য, বিশ্বব্যাপী যা এখন সমাদৃত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজে অনেক প্রতিভাবান লোক আছে যারা কোনো পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাচ্ছে।
আবদুল হামিদ বলেন, বাঙালির সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর সম্প্রসারণে ভূমিকা পালনের জন্য শিল্পকলা একাডেমির প্রশংসা করেন। তিনি সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া মহিমান্বিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারে ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রঞ্জিত কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। স্বাগত বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।