শাহবাগে অবরোধ প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন চলবে

Looks like you've blocked notifications!
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থীদের অবরোধ। সন্ধ্যায় সেই অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষার্থীরা। ছবি : এনটিভি

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের অবরোধ প্রত্যাহার নিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে এই ঘোষণা দেওয়ার পর রাস্তা ছেড়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। এরপর থেকে শাহবাগ মোড় দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

আন্দোলনকারীরা আজকের মতো অবরোধ প্রত্যাহার করলেও সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে।

অবরোধ প্রত্যাহারের আগে শাহবাগ মোড়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে। রাজপথে কোনো কর্মসূচি থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোটা বাতিল করা হোক। আর সরকার যদি কোটা রাখতে চায় তাহলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত রাখতে পারে।

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, আগামীকালের কর্মসূচি যথা সময়ে শুরু হবে। সবাইকে কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানান তিনি।

এরপর আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যান। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে বিকেলে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা চারদিকের রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে মাঝখানে বসে অবরোধ করে। এই রাস্তা বন্ধের কারণে পুরো ঢাকা শহরে ভোগান্তি শুরু হয়। পুরো ঢাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলে। শাহবাগের তিনটি হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনদের বেশ খানিকটা পথ হেঁটে তারপর হাসপাতালে যেতে হয়। অবশ্য অ্যাম্বুলেন্সবাহী রোগীদের পথ চলাচলের জায়গা করে দেয় আন্দোলনকারীরা।

অবরোধস্থলে পিচ ঢালা রাস্তায় ফুল দিয়ে সাজিয়ে ‘প্রজ্ঞাপন চাই’ লিখে রাখে শিক্ষার্থীরা। ‘প্রজ্ঞাপনের টালবাহানা চলবে না চলবে না’; ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিব রক্ত’; ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’; ‘হুমকি দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’; ‘দাবি মোদের একটাই, প্রজ্ঞাপন-প্রজ্ঞাপন’এসব স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় শাহবাগ মোড়।

রমনা ট্রাফিক জোনের এডিসি মেহেদী হাসান এনটিভি অনলাইকে বলেন, শাহবাগে অবরোধ করার কারণে মতিঝিল থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত রাস্তায় বেশ প্রেশার। রাসেল স্কয়ার থেকে মিরপুর রোডের বাসগুলো একেবারে থমকে যায়। মানুষের খুব ভোগান্তি হয়।