সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৫০ গ্রাম প্লাবিত
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তৃতীয় দফায় বন্যা শুরু হয়েছে সুনামগঞ্জে। সুরমা, যাদুকাটা ও খাসিয়ামারা নদী এবং প্রায় সব হাওরের পানি বাড়তে শুরু করেছে। ছয় উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বন্যার জলে।
আজ সোমবার সকালে জেলা শহরের ষোলঘর স্থানে সুরমা নদীর পানি হিসাব করে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে ধসে গেছে সড়কের বেশ কিছু অংশ।
পাহাড়ি ঢলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উত্তর বাদাঘাট, দক্ষিণ বাদাঘাট, শক্তিয়ারখলা ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়ধল, দক্ষিণ বড়ধল, তাহিরপুর সদর, শ্রীপুর ইউনিয়ন, দোয়ারাবাজার উপজেলার টিলাগাঁও, শরীফপুর, ইসলামপুর, গ্রিসনগর ইউনিয়ন, জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ সদর, সাচনা বাজার ও ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ ছাড়া সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া আরপিননগর, নবীনগরের রাস্তায় সুরমা নদীর পাড় উপচে পানি ঢুকে পড়েছে। কয়েকটি এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, সুনামগঞ্জের বেশির ভাগ এলাকা নিচু হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যায়। আবার ভারত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মামুন হালদার জানান, সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।