খুলনা সিটি ভোট

নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বললেন সিপিবি প্রার্থী

Looks like you've blocked notifications!

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মেয়র পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান বাবু। বামপন্থী এই প্রার্থী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও আনেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড নগরীর সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন মিজানুর রহমান বাবু।

কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন কষ্ট করলাম। আমার জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন ব্যবস্থার শুরুতেই নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। সেখানে বলেছিলাম, আমরা কালো টাকামুক্ত, অবৈধ অস্ত্র পেশিশক্তিমুক্ত, ধর্মের ব্যবহারমুক্ত একটি নির্বাচন চাই। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে এলো আমরা দেখলাম, এই অপশক্তিগুলো আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আমাদের গণতান্ত্রিক শক্তিকে একদম শেষ করে দিল। যার বাস্তবতা হচ্ছে দৃশ্যমান।’

‘আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে হয়তো আমরা সংবাদ সম্মেলন করব, আর বেশি কিছু বলব না। এটি খুবই দুঃখজনক, জাতিকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে লড়াই সে লড়াইয়ে যদি দল-মত নির্বিশেষে আমরা অংশগ্রহণ না করি, শুধু নির্বাচন ব্যবস্থা না, পুরো দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো ব্যাখ্যা নেই, কোনো সুযোগ এখানে নেই, একতরফা নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না,’ যোগ করেন সিপিবির প্রার্থী।     

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরা হলেন, আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাতপাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।

খুলনা সিটিতে মোট ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি। প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছে চার হাজার ৯৭২ জন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হচ্ছে। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০৬ নম্বর কেন্দ্র ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩৯ নম্বর কেন্দ্রে মোট ১০টি ইভিএম রয়েছে।

২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ১৪টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে একটি কেন্দ্র হচ্ছে পিটিআই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে পাঁচটি বুথ রয়েছে। এখানে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে। এই কেন্দ্রে পুরুষদের বুথে মোট ভোটার এক হাজার ৫৯৩ জন।