হাইকোর্টের নির্দেশ

লাফার্জ সিমেন্টের দূষণ ক্ষতি নিরূপণে কমিটি

Looks like you've blocked notifications!

সুনামগঞ্জের ছাতকে লাফার্জ সিমেন্ট কারখানার মাধ্যমে ফসলি জমির মাটি কর্তন ও পরিবেশের কী ধরনের ক্ষতি হচ্ছে, তা জানাতে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেটের পরিচালক ও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসককে এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে কমিটিকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে লাফার্জ সিমেন্ট কারখানা কর্তৃপক্ষের ফসলি জমির মাটি কাটা এবং নদীর পানি ও বায়ুদূষণ রোধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রাফসান-আল-আলভি, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও অ্যাডভোকেট আশিকুজ্জামান ইনজু।

পরে অ্যাডভোকেট রাফসান-আল-আলভি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ট্যাঙ্গারগাঁও গ্রামে লাফার্জ সুরমা কারখানার সিমেন্ট উৎপাদন হয়। এই কারখানার মাধ্যমে ওই এলাকায় ফসলি জমির মাটি কর্তন করা হচ্ছে।

এ ছাড়া ওই এলাকার বায়ুদূষণের ফলে সাধারণ মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে এবং সুরমা নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। ভারতের মেঘালয়ে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার উৎপাদন ২০১০ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এসব কারণ দেখিয়ে গত ১২ মার্চ স্থানীয় ‘সিবিক এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড ইয়ুথ ফোরাম’ নামে একটি নাগরিক সংগঠন রিটটি দায়ের করে। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত আজ এই আদেশ দিলেন।