প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ৮১ শতাংশ ভোট বেশি পেলেন নৌকার প্রার্থী!

Looks like you've blocked notifications!
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবুল বাশার খান। ছবি : সংগৃহীত

ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। ভোটগ্রহণ শেষে চারজন প্রার্থী সব মিলিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৭৭৬ ভোট। অন্যদিকে জয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের আবুল বাশার খান নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন সাত হাজার ৭৫০ ভোট। হিসাব করলে দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ৮১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন তিনি।

অবশ্য এই নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, এজেন্ট বের করে দেওয়া ও ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ভোট বর্জন করেন বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. ওয়ারেচ আলী খান।

তাঁর বর্জন ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল বাশার খান বলেছিলেন, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় দেখে ওয়ারেচ আলী খান মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।

এর আগে সকাল ৮টায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে নয়টি কেন্দ্রেই নারী ও পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে সকাল ৯টার পরে কেন্দ্রগুলো দখল করে বহিরাগতরা। তারা ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল দেয়। এসব ঘটনায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ওয়ারেচ আলী খান ভোট বর্জন করেন।

এ বিষয়ে রির্টানিং কর্মকর্তা মো. শাহিন শরীফ বলেন, ‘নির্বাচন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু করতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। তারপরও আমাদের কাছে একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

রাত ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এতে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকে আবুল বাশার খান পেয়েছেন সাত হাজার ৭৫০ ভোট, বিএনপির ওয়ারেচ আলী খান পেয়েছেন ৪০৯ ভোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মো. নাসির উদ্দিন মৃধা পেয়েছেন ২১১। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল ওয়াহেদ জোমাদ্দার আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৩ ভোট ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আরিফুর রহমান রজনীগন্ধা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৩ ভোট।

পোনাবালিয়া ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ হাজার ৯২০ এবং নারী ভোটার পাঁচ হাজার ৫৫৩ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করেন পাঁচজন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৬ জন।