‘দুই মাসে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হবে’

Looks like you've blocked notifications!
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ক্যাম্পে আজ শনিবার দুপুরে দুর্যোগ বিষয়ক যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : এনটিভি

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।

আজ শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্যোগ বিষয়ক যৌথ মহড়া শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব।

এ সময় শাহ কামাল বলেন, যারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে চায় তাদেরকেই ইউএন এজেন্সির সহায়তায় ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি বলেন, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাস উপযোগী বাসস্থান তৈরির কাজ শেষপর্যায়ে।

সচিব বলেন, বর্ষা মৌসুমে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে রোহিঙ্গাদের জানমাল রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

মহড়ায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী যৌথভাবে কাজ করবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। কারণ দুর্যোগে প্রথম মোকাবিলা করতে হবে রোহিঙ্গাদেরকেই। এ জন্য তাদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কিছু প্রাথমিক উদ্ধার সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর ১১টি দল মাঠে থাকবে। পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত রোহিঙ্গাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষা, দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বালুখালী ক্যাম্পে ওই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মহড়ায় অংশ নেয় সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), আনসার, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, স্থানীয় প্রশাসন, রেডক্রিসেন্ট, এনজিও, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকদল।

ঘূর্ণিঝড় ও পাহাড় ধসসহ দুর্যোগকালীন রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় অতি দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার অভিযান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো, প্রাথমিক চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মহড়া দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাকসুদুল হক, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান, ইন্টারসেক্টর কোর্ডিনেশন গ্রুপ আইএসসিজির কোর্ডিনেটর শম্বুল রিজভীসহ বিভিন্ন দপ্তরের সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা।