‘ঈদের তিন দিন আগে থেকে কিছু যানবাহন বন্ধ থাকবে’

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরে কালিয়াকৈরের সূত্রাপুর এলাকায় সাসেক প্রজেক্টের কন্ট্রাক্টরস কার্যালয়ে আজ শনিবার এক মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি : এনটিভি

ঈদের তিন দিন আগে থেকে দেশের মহাসড়কগুলোতে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে গার্মেন্টস, পচনশীল দ্রব্য ও জরুরি ওষুধ বহনকারী যানবাহন এ নির্দেশনার বাইরে থাকবে বলে তিনি জানান।

আজ শনিবার গাজীপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকায় সাসেক প্রজেক্টের কন্ট্রাক্টরস কার্যালয়ে মহাসড়কের যানজট নিরসনকল্পে করণীয় বিষয়ে জেলা প্রশাসন, সড়ক বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদের মতবিনিময় সভা করেন। সভা শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরি তিনদিন ঈদের আগে স্ট্রিকটলি বন্ধ থাকবে। এই সময়ে শুধু পচনশীল দ্রব্য, ওষুধপত্র এবং গার্মেন্টস শিল্প এ নিয়ে যেন বিভ্রান্তি না হয়। এগুলো ওয়েবার পাবে। অন্যান্য ভারি যে মালামাল সিমেন্ট, রড, পাথর এগুলো এই তিন দিনে আপনারা পরিবহন করবেন না।’

এছাড়াও পোশাক কারখানার মালিকরা যেন ঈদে শ্রমিকদের একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে ধাপে ধাপে ছুটি দেন সেজন্য মন্ত্রী তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘যানজট নিরসন ও ভোগান্তি কমাতে পুলিশ, সড়ক ও জনপথ এবং স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন, রাস্তাকে চলাচল এবং ব্যবহার উপযোগী রাখতে হবে। বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে। তবে বৃষ্টিকে অজুহাত করে রাস্তার মেরামত কাজ সঠিকভাবে হবে না এটা আমি শুনব না। আগামী ৮ (জুন) তারিখের মধ্যে রাস্তার সব ধরনের মেরামতের কাজ শেষ করে সেটি সচল রাখার দায়িত্ব ইঞ্জিনিয়ারদের দেওয়া হয়েছে। কালিয়াকৈরের চন্দ্রার চার লেন তৈরির কাজও জুনের ৮ তারিখের মধ্যে শেষ হবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব কাছাকাছি। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণের সুযোগ নিক আমরা সেটা চাই। তারা নির্বাচনে না এলেও যথারীতি নির্বাচন হবে, নির্বাচনের পর সরকার গঠন হবে, পার্লামেন্ট বসবে। তবে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ট্র্যাপে ফেলবেন, সেটার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। কাজেই তাদের এই আশা, তাদের এই খোয়াবের পুনরাবৃত্তি আর বাংলাদেশে হবে না। আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। বিএনপি আসলে আসবে, না আসলেও অন্যরা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কাজেই এবার সরকারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদে ফেলার সুযোগ আর তাদের থাকবে না।’

এ সময় খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন খুলনার মানুষ মেনে নিয়েছে। ওই নির্বাচন কেউ প্রত্যাখ্যান করেনি। শুধু বিএনপিই প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নির্বাচনে হেরে গেলেই এটা করে থাকে। নির্বাচনে তারা হেরে গেলেই তা প্রত্যাখ্যান করবে- এটা আমরা জানতাম। এটা সবাই জানে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, কারচুপি হয়েছে-এসব ভাঙা রেকর্ড তারা নির্বাচন আসলেই বাজায়। বিএনপির নেতারা এসব অযৌক্তিক অবান্তর অভিযোগ না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ গ্রহণ করুক। সেটা আমরা চাই। আর তারা যদি নির্বাচনে না আসার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। গণতন্ত্র গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাবে এবং নির্বাচন হবে।’

এ সময় মতবিনিময় সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, সাসেক প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. ইসহাক, সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সেতুমন্ত্রী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় চারলেনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।