মহাখালীতে ‘আইফোনের’ কারখানায় অভিযান!

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসের একটি বাসায় শনিবার নকল আইফোন তৈরির কারখানায় অভিযান চালান শুল্ক গোয়েন্দারা। ছবি : স্টার মেইল

রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসের ২৭ নম্বর রোডের একটি বাসায় নকল আইফোন তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। ওই বাসায় টি জে ইলেকট্রনিক লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৬টি আইফোন জব্দ করা হয়েছে। এ সময় সাতজনকে আটক করা হয়।

আজ শনিবার এই অভিযান চালানো হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সহিদুল ইসলাম জানান, রাজধানীতে চারটি অভিযানে নয়জনকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এ সময় জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৬২টি মোবাইল ফোন। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৯ লাখ টাকা।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক গাজী মো. জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল আজ শনিবার রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালায়। ছবি : ফোকাস বাংলা

আজ রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, উত্তরা, গুলশান ও মহাখালীর কয়েকটি মার্কেটে অভিযান চালান শুল্ক গোয়েন্দারা। এ সময় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে আনা আইফোন, এইচটিসিসহ বিভিন্ন নামি দামি ব্র্যান্ডের ১৬২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

এর মধ্যে মহাখালীর টিজে গ্রুপের শো-রুম থেকে নকল আইফোন বাজারজাত করার অপরাধে সাতজনকে ও উত্তরার নর্থ টাওয়ারের তালুকদার মোবাইল লিংক থেকে দুজনকে আটক করা হয়।

এদিকে আজ বেলা ১১টার দিকে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক গাজী মো. জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল। তাদের সঙ্গে ছিলেন র‍্যাব সদস্যরা।

রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযানের  শুল্ক গোয়েন্দাদের বহন করা গাড়িটি আটকে রাখেন ব্যবসায়ীরা। ছবি : স্টার মেইল

অভিযানে শপিং মলের বিভিন্ন দোকান থেকে ১০০টি আইফোন জব্দ করা হয়। এসব আইফোন অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনা হয়েছে বলে শুল্ক গোয়েন্দাদের দাবি।

এর পরই অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বসুন্ধরা সিটির ব্যবসায়ীরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভের সময় শুল্ক গোয়েন্দাদের বহন করা গাড়িটি আটকে রাখেন ব্যবসায়ীরা। পরে র‍্যাব সদস্যরা এসে গাড়িটি উদ্ধার করেন।

সহিদুল ইসলাম আরো জানান, চোরাচালানের মাধ্যমে যারা মোবাইল ফোন নিয়ে আসছেন অথবা যারা নকল মোবাইল ফোন বাজারজাত করছেন তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের আওতায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই চক্র যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। যেহেতু নকল ও চোরাচালানের মাধ্যমে আনা মোবাইল ফোনের কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই এখন থেকে নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান চলবে।

এসব অভিযানে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক গাজী মো. জিয়াউদ্দিনসহ উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এবং র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।