পকেট ভারী করতেই সড়ক সংস্কার প্রকল্প : রিজভী

Looks like you've blocked notifications!
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : এনটিভি

ঈদের আগে ক্ষমতাসীন লোকজনের পকেট ভারী করতেই সড়ক সংস্কারের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপি নেতা বলেন, যাঁরা সারা বছর মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে রাখেন, তাঁরা কোন আরব্য রজনীর দৈত্যকে দিয়ে ঈদের কয়েক দিন আগে সব রাস্তাঘাট মেরামত করে ফেলবেন, সেটি কারো উপলব্ধিতে আসে না।

‘এমন একটি শক্তি দরকার যে ওদিকেও (আওয়ামী লীগ) এবং এদিকেও (বিএনপি) কন্ট্রোল করতে পারে’—বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর এ বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রিজভী বলেন, ‘উনার (এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী) নিজের দায়িত্বে তিনি এটা বলেছেন। তবে বিএনপির আহ্বান জাতীয় ঐক্য।’

নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এই বক্তব্য জবরদস্তিমূলক একতরফা নির্বাচনেরই ইঙ্গিতবহ। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে কটি আসনে দাঁড়িয়েছেন, তিনি কখনই সেই নির্বাচনে পরাজিত হননি। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পরাজিত হয়েছেন।’

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে জানান রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াবিহীন কোনো জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যাবে না, যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এ মুহূর্তে বিএনপির ইশতেহার হচ্ছে, দেশনেত্রীর মুক্তি, জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন।

‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃত্যু সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘সরকারের বিচারবহির্ভূত হত্যার মূল উদ্দেশ্য দেশকে স্থায়ী দুঃশাসনের বজ্র আঁটুনিতে বেঁধে ফেলা। আর সে জন্য জনগণকে আতঙ্কিত করে রাখা। তারা যেন ভোগ-লালসায় অস্থির থাকা এই অবৈধ সরকারের আগামী একতরফা নির্বাচনের নীলনকশার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহসী না হয়। আর এ জন্য সরকার বিনা বিচারে হত্যার দণ্ডাজ্ঞা ধরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।’ অবিলম্বে বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের জোর দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।