বান্দরবানে পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপায় তিনজন নিহত

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে আজ সোমবার পাহাড়ধসে মাটিচাপা পড়েন পাঁচজন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারে তৎপরতা চালান উদ্ধারকর্মীরা। ছবি : এনটিভি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপায় তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মনজয়পাড়ার বড়ইতলী গ্রামে সোপায়ন বড়ুয়ার খামারে পাহাড় কেটে পানি চলাচলের নালা তৈরির সময় দুই পাশের পাহাড় ধসে পাঁচজন শ্রমিক মাটির নিচে চাপা পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, প্রশাসন এবং স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। দুপুর ১টার দিকে উদ্ধারকর্মীরা মাটির নিচ থেকে নূর মোহাম্মদ (২২) নামের এক শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করে। ৬টার দিকে জীবিত উদ্ধার করে মনজয়পাড়ার বাসিন্দা নূরুল হকের ছেলে নূরুল হাকিমকে (২৫)। তাঁদের দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে মনজয়পাড়ার সুলতান আহমেদের ছেলে মো. আবু আহমেদ (২৫) ও শাহ আলমের ছেলে জসিম উদ্দিনের (১৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রাত সোয়া ৯টার দিকে মনজয়পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমের স্ত্রী নারীশ্রমিক সোনা মেহেরের (৩৫) মরদেহ পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরওয়ার কামাল, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গ্রাম পুলিশের সদস্য রূপায়ণ বড়–য়া জানান, স্থানীয় বাসিন্দা সোপায়ন বড়ুয়ার খামার বাড়িতে পানি চলাচলের জন্য শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কেটে পাহাড়ের মধ্যে নালা তৈরি করা হচ্ছিল। আজ পাহাড়ের দুই পাশের মাটি ধসে পড়ে পাঁচ শ্রমিক মাটির নিচে চাপা পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, প্রশাসন এবং স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দুজনকে জীবিত এবং তিনজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বড়ইতলী গ্রামের সোপায়ন বড়–য়ার খামার বাড়িতে শ্রমিকরা নালা তৈরির জন্য পাহাড় কাটার সময় একজন নারীসহ পাঁচজন শ্রমিক মাটির নিচে চাপা পড়েন। দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুই শ্রমিককে জীবিত এবং তিনজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে উদ্ধারকর্মীরা।

বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম বলেন, ঘুমধুমের মনজয়পাড়া সীমান্তে পাহাড়ধসে হতাহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বর্ষায় পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলোর তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।