গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত
গাজীপুরের মাজুখান এলাকায় টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে এক নারী নিহত এবং আরো অন্তত ১২জন আহত হয়েছে। নিহতের নাম নয়ন তারা (৩৫)। তিনি নরসিংদী জেলা সদরের আল আমিনের স্ত্রী।
এর আগে আজ গাজীপুরের তারগাছ এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস চাপায় এক রিকশাভ্যান চালক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আবুল হোসেন। তিনি শরীয়তপুর জেলার আবদুর রশিদ মৃধার ছেলে।
জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সফিকুল ইসলাম ও টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. আতিকুর রহমানসহ স্থানীয়রা জানান, নরসিংদী থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে বাসটি টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কের মাজুখান এলাকায় অপর গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের প্রায় ২০ ফুট গভীর খাদে উল্টে পড়ে যায়। এতে নয়ন তারা নিহত এবং অন্তত ১২ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতাল ও শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাঠায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। এ ঘটনায় ওই সড়কে বেশ কিছু সময় যানবাহন আটকা পড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, গাজীপুরের দত্তপাড়া এলাকার টেকপাড়ায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে রিকশাভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন আবুল হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি রিকশাভ্যান নিয়ে তারগাছ এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী স্কাই লাইন পরিবহনের একটি বাস ওই রিকশাভ্যানটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে আবুল হোসেন সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন এবং ওই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এ ঘটনায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে মহাসড়কে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়। পুলিশ বাসটিকে আটক করলেও চালক পালিয়ে যান।