সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

মাদকের গডফাদাররা আ. লীগের, তাঁরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

Looks like you've blocked notifications!
আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি : এনটিভি

তালিকা করে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা হচ্ছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা। মাদক ব্যবসার যারা গডফাদার তারা মূলত আওয়ামী লীগেরই লোক, আর সেই কারণেই তাঁরা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গোটা দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মাদক নির্মূলের নামে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা সবার জন্য রীতিমতো উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে। এখন ক্রমান্বয়ে বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং নতুন করে টার্গেট করা হচ্ছে।’

‘দেশ জুড়ে মাদকবিরোধী যে অভিযান চলছে সেখানে পুলিশ তাদের ইচ্ছামতো সাধারণ মানুষদের বিশেষ করে কোথাও কোথাও বিএনপিসহ বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ধরে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করছে, হয়রানি করছে এবং দাবিকৃত টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদের নির্মমভাবে ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে কিংবা হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যদিও বলা হচ্ছে, তালিকা করে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা হচ্ছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আসলে মাদক ব্যবসার যারা গডফাদার তারা আওয়ামী লীগেরই লোক, আর সেই কারণেই তারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরছে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই সাড়ে নয় বছর হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসার নেপথ্যের কারিগররা বিদেশে আয়েশি জীবন-যাপন করছে অথবা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা হয়ে দেশেই বসবাস করছে।’

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা ও টেকনাফের এমপি মাদক সম্রাট বদিসহ আওয়ামী লীগের শত শত বড় বড় নেতাকর্মীদের নাম গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলেও এখন পর্যন্ত তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়নি। দেশে মাদক বিস্তারের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ, তাদের আমলেই সব সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশ থেকে মাদকের চালান ঢুকছে বাংলাদেশে অত্যন্ত নিরাপদে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নেছারুল হক, গিয়াস উদ্দীন মামুন, যুবদল নেতা হাজী ইউসুফ, এস এম জাহিদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।