গবেষকদের তথ্য

জিডিপির ৩.৬৫ শতাংশ আসে চিংড়ি থেকে

Looks like you've blocked notifications!
সাতক্ষীরায় গতকাল শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ‘একুয়ামিমিক্রি চাষ পদ্ধতির মধ্যে চিংড়ির রোগ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা। ছবি : এনটিভি

রপ্তানি খাতে আয়ের ১ দশমিক ৯২ শতাংশ আসে হিমায়িত চিংড়ি থেকে। অপরদিকে জিডিপির ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং কৃষি খাতের ২৩ দশমিক ৮১ শতাংশ আয়ও আসে চিংড়ি সম্পদ থেকে।

এই তথ্য প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও জীববিদ্যা এবং জলজ পরিবেশ বিভাগের গবেষকরা।

গতকাল শনিবার বিকেলে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত ‘একুয়ামিমিক্রি চাষ পদ্ধতির মধ্যে চিংড়ির রোগ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য তুলে ধরেন।

গবেষকরা বলেন, বাংলাদেশের চিংড়ি খাত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে পরিবেশবান্ধব চিংড়ি চাষের গুরুত্বও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের চিংড়ি উৎপাদন প্রতি হেক্টরে পাঁচ গুণ কম উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, উন্নত চাষ পদ্ধতির প্রচলন করা এখন  জরুরি হয়ে পড়েছে।

কর্মশালায় বলা হয়, বাংলাদেশের সাদা সোনাখ্যাত চিংড়ি সম্পদ রোগবালাই ও নানা সমস্যায় জর্জরিত। এর ফলে চিংড়ির উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। সেই সঙ্গে রপ্তানি আয়ও কমে যাচ্ছে।

এ অবস্থায় চিংড়ি সম্পদের উন্নয়ন, উৎপাদন এবং আরো বেশি পরিমাণ রপ্তানি যোগ্যতা অর্জনে একুয়ামিমিক্রি পদ্ধতির বিকল্প নেই। এতে চিংড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে তার গ্রহণযোগ্যতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা।

সাতক্ষীরার বেনেরপোতায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবির।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের ডিন ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য দেন সাবেক মৎস্য ও পশু সম্পদ প্রতিমন্ত্রী চিংড়ি গবেষক ডা. আফতাবউজ্জামান, ড. খান কামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. আবদুল ওয়াদুদ, ড. এ কে এম আমিনুল ইসলাম, ড. এস এম রফিকুজ্জামান, গোলাম মো. মোস্তাকিম, শিমুল মণ্ডল প্রমুখ। কর্মশালায় সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বৈজ্ঞানিক ও মৎস্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।