পুলিশের সঙ্গে মারামারি, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

Looks like you've blocked notifications!
মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফরিদ হাসান খান। ছবি : সংগৃহীত

দুই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় মাগুরার বিএনপি নেতা ফরিদ হাসান খানের দুই স্ত্রী বিলকিস আক্তার ও সুমি খাতুন আজ সোমবার বিকেলে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। একই ঘটনায় আটক দুই কর্মচারী বিল্লাল ও আলামিনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মাগুরা আদালত ১-এর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফিরোজ মামুন।

এদিকে পুলিশ বাদী হয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফরিদ হাসান খান ও তাঁর ভাগ্নে জাকারিয়ার বিরুদ্ধে সদর থানায় মারামারির একটি মামলা করেছে।

গতকাল রোববার দুপুরে মাগুরা শহরের ভায়না পেট্রলপাম্পের সামনে মোটরসাইকেল নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় সাদা পোশাকে থাকা লাইন পুলিশের সদস্য বোরহান ও জাহিদ হাসানের সঙ্গে মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ঠিকাদার ফরিদ হাসান খান ও তাঁর ভাগ্নে জাকারিয়ার হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে কাঠের টুল দিয়ে মারামারি হয়। ওই সময় পুলিশ সদস্য বোরহানের মাথায় রক্তাক্ত জখম হলে তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের একাধিক দল ফরিদ হাসান খানকে ধরতে তাঁর বাসা, অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। অভিযানে তাঁর  স্ত্রী বিলকিস আক্তার, দ্বিতীয় স্ত্রী সুমি খাতুন, বড় ভাই মিন্টু খান, বোন বিজরী খাতুন, ভগ্নিপতি জেলা বিএনপি নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুর রহমান বাটুল, কর্মচারী বিল্লাল, আলামিনকে আটক করে পুলিশ। পরে থানাহাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে মুক্তিযোদ্ধা বাটুল ও তাঁর স্ত্রী বিজরী এবং মিন্টু খানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ফরিদ হাসান খানের দুই স্ত্রীসহ চারজনকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক দুই স্ত্রীকে জামিন ও দুই কর্মচারীকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামি ফরিদ হাসান খানের ভাই মাগুরা জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে  জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতা পিকুল খান ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর পুলিশী হয়রানি এবং মিথ্যা মাদক ব্যবসার অপবাদ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।