জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের জামিন আবেদন ২ মাস মুলতবি

Looks like you've blocked notifications!

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের জামিন আবেদন আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি রেখেছেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া অপর দণ্ডপ্রাপ্ত মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামালের চিকিৎসায় (অপারেশন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বোর্ড যদি মনে করে তাহলে তিনি নিজ খরচে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ। কাজী কামালের পক্ষে ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদকিদের বলেন, শরফুদ্দিনের জামিন আবেদন ৩১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি রেখেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া কাজী সালিমুল হক কামালের চিকিৎসায় (অস্ত্রোপচার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল যদি মনে করে তাহলে তিনি নিজ খরচে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের মধ্যে কারাবন্দি তিনজনেরই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত এই তিন আসামির আপিল শুনানি এবং খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে জারি করা রুলের শুনানি একইসঙ্গে নেবেন।

খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য দুজন হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিনজন হলেন- বিএনপির সিনিয়র-ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

 রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন। এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

 এদিকে খালেদা জিয়া আপিলের পর জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করে। কিন্তু আপিল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন।