মুন্সীগঞ্জে খুদে পোশাক কারখানায় ব্যস্ত কারিগররা

Looks like you've blocked notifications!

ঈদ সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জে খুদে পোশাকশিল্প কারখানার কারিগররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। উপজেলার রামপাল, পঞ্চসার ও বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পোশাক তৈরির কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক দিনরাত পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত। কাজের প্রকারভেদে শ্রমিকদের মজুরি মাসে পাঁচ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাড়তি চাপ সামলাতে দৈনিক ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ চলে। তবে শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

কারখানায় তৈরি এসব পোশাক স্থানীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যায়। দাম কম থাকায় মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তদের আগ্রহের প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে এসব। কারখানাগুলোতে ঈদ মৌসুমে কারিগরদের সংখ্যা বেড়ে যায়। নিম্ন আয়ের মানুষদের কর্মসংস্থানের একটি বড় অংশ এখানে কর্মরত। এ ছাড়া পোশাক তৈরির কারখানাগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শতাধিক পোশাক সম্পৃক্ত পণ্যের দোকান।

কারখানার মালিকরা জানান, এসব পণ্য ঢাকার পাইকারি দোকান হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যায়, যার অধিকাংশ ক্রেতাই সমাজের মধ্য ও নিম্ন আয়ের পছন্দের প্রথম তালিকায় থাকে। তবে তাদের অভিযোগ ভারতীয় পণ্যের প্রভাব ঈদবাজারে বেশি থাকায় লোকসানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শ্রমিকরা জানান, বছরের ছয় মাস স্থানীয় অধিকাংশ কারখানাই বন্ধ থাকে, যার কারণে শ্রমিকদের অন্যত্র কাজ করতে হয়। ছোট থেকে বড়দের ঈদের পোশাক এখানেই যত্নসহকারে তৈরি হয়ে থাকে। পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি কম থাকায় তা বাড়ানোর দাবি জানান শ্রমিকরা। এ ছাড়া এসব কারখানার ওপর নির্ভর করে পোশাক তৈরির কাঁচামাল বিক্রি করছে বড় একটি অংশ। তবে এই ব্যস্ততা শুধু ঈদ মৌসুমগুলোতে বেড়ে যায়। এ ছাড়া ঈদের মৌসুম ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় কিছু কিছু কারখানার তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্যেরর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।

বিসিক শিল্পকারখানার কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ জানান, ক্ষুদ্র পোশাকশিল্প কারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের বছরে দুবার কাগজে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এপ্রিল মাসে ৫০ থেকে ৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণের পর যাচাই-বাছাই করে সফল উদ্যোক্তাদের বিসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে স্বল্প ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। এই বছরে  ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বিসিকের আরেকটি তহবিল রয়েছে। সেখান থেকে গত বছরে ১০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। আরো কর্মসূচি আছে, যার মাধ্যমে জেলার ক্ষুদ্র গার্মেন্ট শিল্পগুলোদের পেশাগত দক্ষতা এবং পণ্যের মান উৎপাদন করতে সক্ষম হবো। একজন ব্যবসায়ীকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে যে ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে তা দুই লাখ টাকা।