কমলাপুরে ‘টিকেট-যুদ্ধ’

Looks like you've blocked notifications!
নিরাপদ ও নিশ্চিত ভ্রমণের জন্য এই মুহূর্তে রেলকেই ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখছেন অধিকাংশ যাত্রী। ছবিটি আজ শনিবার সকালে কমলাপুর থেকে তোলা। ছবি : এনটিভি

ঈদের সময় যত কাছে আসছে রাজধানীবাসীর বাড়ি ফেরার তাগিদও তত বাড়ছে। নিরাপদ ও নিশ্চিত ভ্রমণের জন্য এই মুহূর্তে রেলকেই ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখছেন অধিকাংশ যাত্রী। তাই বাড়ি ফেরার একটি অগ্রিম টিকেটের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি। অগ্রিম টিকেট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে আজ শনিবার দেওয়া হচ্ছে ১১ জুনের টিকেট।

রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ভোর থেকেই ছিল টিকেট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়। সকাল ৮টায় খুলে দেওয়া হয় টিকেট কাউন্টার। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই অনেকে অবস্থান নিয়েছেন ২৬টি কাউন্টারের সামনে। সময়ের হিসেবে সেটি প্রায় ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা। পত্রিকা বিছিয়ে ঘুমিয়ে, লুডু খেলে সময় পার করছেন টিকেট প্রত্যাশীরা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। টিকেট প্রত্যাশীদের লাইন মূল প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে চলে গেছে রাস্তায়। যার অবস্থান যত পিছনে টিকেট পাওয়ার প্রত্যাশাও তত ক্ষীণ। তবু আশা, যদি একটি টিকেট মিলে। নারীদের জন্য আলাদাভাবে দুটি কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকেট দেওয়া হচ্ছে।  

১২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর সকাল ১০টার দিকে টিকেট পেয়ে নিজের ভালোলাগার কথা জানালেন এক যুবক। আরেক নারী ভুলে ১১ জুন দিনের বেলায় টিকেট কেটেছেন। কিন্তু তিনি যাবেন রাতে। এ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন তিনি।

রাজধানীর একটি কলেজের এক ছাত্রী জানালেন, তিনি ভোর ৪টায় এসেছেন আর সকাল ৯টায় টিকেট পেয়েছেন। এতে খুবই খুশি তিনি।    

তবে, প্রতিবছরের মতো এবারও চাহিদার তুলনায় বেশিরভাগ টিকেট প্রত্যাশী তাদের কাঙ্ক্ষিত টিকেট পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

এদিকে, টিকেট  কালোবাজারি ও বিশৃঙ্খলা  ঠেকাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিদিন ঢাকা থেকে অগ্রিম প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। ১৬ জুন ঈদের সম্ভাব্য দিন ধরে ৫ দিনের অগ্রিম টিকেট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।