নড়াইলে খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি : এনটিভি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে দায়ের করা মানহানি মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন নড়াইলের আদালত।

আজ মঙ্গলবার সকালে জামিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদ।

জামিনের আবেদন আইনসম্মতভাবে উপস্থাপন না করায় আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মানহানি মামলা করা হয়েছিল।

গত বুধবার খালেদা জিয়ার পক্ষে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিনের আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ জামিন শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

মামলার আর্জিতে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইলের নড়াগাতি থানাধীন চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইল সদর আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে ওই বছরের ২৫ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন একই আদালত।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’

খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হয়। এ ঘটনায় নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে নড়াইল সদর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের আদালতে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে আরো একটি মানহানি মামলা করা হয়।

এ ছাড়া একই দিনে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামেও একটি মানহানি মামলা করা হয়।

মামলাটি দায়ের করেন শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কালিয়ার শেখ আশিক বিল্লাহ।