আদালতে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে আসিফ আকবরকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য জানিয়েছেন।
আসিফ আকবরকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, এখনো এ ব্যাপারে কোনো কাগজপত্র আসেনি। কাগজপত্র আসার পর তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শিল্পী ও সুরকার শফিক তুহিনের দায়ের করা মামলায় আসিফ আকবরকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
আজ বুধবার সকালে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আসিফ আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আজ তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। এ মামলায় আসিফ আকবর ছাড়াও আরো চার-পাঁচজন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় দায়ের করা এ মামলার এজাহারে শফিক তুহিন অভিযোগ করেন, গত ১ জুন রাত ৯টার দিকে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সার্চলাইট নামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তাঁর সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীর ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
পরে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শফিক তুহিন গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এ ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য করেন এবং হুমকি দেন।
মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, পরের দিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তাঁর প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন।
ভিডিওতে আসিফ আকবর শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন—এ কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, তাঁকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। এই নির্দেশনা পেয়ে আসিফ আকবরের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে হত্যার হুমকি দেয়।
মামলায় আরো বলা হয়, আসিফ আকবরের এই বক্তব্য লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। এতে তাঁর (শফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে।