ভৈরবে এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঞ্জাবি বিতরণ
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঈদের নতুন কাপড় হিসেবে পাঞ্জাবি বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জামালপুর এলাকার ছনছাড়া গ্রামের একটি এতিমখানার ৪২জন এতিম শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঞ্জাবিগুলো বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর পঞ্চবটী এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুর রশিদের নেতৃত্বে তাঁর কয়েকজন বন্ধুর আর্থিক সহায়তায় পাঞ্জাবিগুলো তৈরি করার পর বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাট্যকার ও নির্দেশক সবুজ সারোয়ার, কাকলি খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম রিপন, শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, অধ্যক্ষ ওয়াহিদ চৌধুরী সৈকত, ব্যবসায়ী কালাম চৌধুরী, মুন্না চৌধুরী, মাসুদ পারভেজ, নাদিম মিয়া প্রমুখ।
এ সময় নাট্যকার সবুজ সারোয়ার এতিম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের যখন যা প্রয়োজন হবে, আমাদেরকে জানাবে। আমরা আমাদের সাধ্য মতো তোমাদের সেই চাহিদা পূরণে উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
শিক্ষক ও শিশু সংগঠক নজরুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘তোমরা কখনও নিজেদের অসহায় ভাববে না, একা মনে করবে না। আমরা সব সময় তোমাদের পাশে আছি, থাকব। আমাদের সন্তানদের সঙ্গে তোমরাও সব উৎসবে আনন্দের ভাগিদার হবে।’ এ সময় তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিভিন্ন মনিষীর জীবনী তুলে ধরে তাদেরকে উৎসাহিত করেন।
পাঞ্জাবি বিতরণ কাজের উদ্যোক্তা শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, পবিত্র রমজান শেষে ঈদ আমাদের সন্নিকটে। আমাদের সন্তানরা ঈদের নতুন পোশাক পরে আনন্দ করবে। কিন্তু এখানকার এতিমখানার শিশুরা সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। এই চিন্তা থেকে আমি উদ্যোগটি গ্রহণ করি। আর আমার এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ণ করতে আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ান আমার বন্ধু অধ্যক্ষ ওয়াহিদ চৌধুরী সৈকত, ব্যবসায়ী কালাম চৌধুরী, মুন্না চৌধুরী, মাসুদ পারভেজ, নাদিম মিয়া।
নতুন পাঞ্জাবি পেয়ে এতিম শিশুগুলোর মধ্যে যে আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের আবেশ ফুটে ওঠে, তা পৃথিবীর কোনো সুখের সাথে তুলনা হয় না-উল্লেখ করে আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের সবার সাধ্য মতো আমরা যদি সমাজের এতিম অসহায়দের পাশে দাঁড়াই, তবে তাদের দুঃখ অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।’