দুপুরে খাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়ে সবাই
খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর বাজারে মনোরঞ্জন সাহা (৬০) নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পরিবারের ছয় সদস্যকে অচেতন করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
মনোরঞ্জন সাহা এলাকায় স্বর্ণ বন্ধক রেখে সুদের ব্যবসা করেন। তাই, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মনোরঞ্জন সাহার ছেলে মিঠু সাহা জানান, গতকাল বেলা ৩টার দিকে বিনোদপুর চৌরাস্তা এলাকায় মনোরঞ্জন সাহা তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যসহ কর্মচারীদের নিয়ে দুপুরে নিজ বাড়িতে খাবার খান। এর কিছুক্ষণ পরই তারা সবাই অচেতন হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অসুস্থ অন্য সদস্যরা হলেন মনোরঞ্জন সাহার ভাই সুশান্ত সাহা (৬৫), স্ত্রী নিলা রানী সাহা (৬০), কর্মচারী কানাই (৫০), গন মিস্ত্রি (৬০) ও নিশীথ সাহা (৫৫)।
দুষ্কৃতিকারীরা তাদের অচেতন করার পর বাড়ি থেকে কোনো সম্পদ লুট করেছে কি না, তা জানাতে পারেননি মিঠু সাহা।
এ সময় সাংবাদিকরা মনোরঞ্জন সাহার ছবি তুলতে গেলে তাঁর স্বজনরা ছবি তুলতে বাধা দেয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা পল্লিচিকিৎসক রবীন কুমার, ব্যবসায়ী নয়ন শীলসহ অনেকে জানায়, মনোরঞ্জন শীল এলাকায় স্বর্ণ বন্ধক রেখে সুদের ব্যবসা করেন। তাঁর সঙ্গে অনেকেরই শত্রুতা থাকতে পারে। সেই শত্রুতা থেকেই এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাদের ধারণা।
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সুশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘খাবারে মাংসের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে তাদের অজ্ঞান করা হয়েছে। রোগীরা এখন মোটামুটি ভালো আছে।’
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে আমরা ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করি। ভিকটিমরা সুস্থ হয়ে উঠলে তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’